সর্বশেষ

তেলের দাম বৃদ্ধিতে অনেক দেশেই এখন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ :


/ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা /

২৪খবর বিডি: 'রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বেই তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, 'এখন আন্তর্জাতিক বাজারে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপকরণগুলোর দাম অত্যধিক বেড়েছে। অনেক দেশেই এখন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার তৈরি হয়েছে। অনেক উন্নত দেশেও কিন্তু দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে।'

'মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ঢাকা সেনানিবাসে পিজিআর সদর দফতরে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এতে যুক্ত হন।'

শেখ হাসিনা বলেন, 'একদিকে করোনার একটা অভিঘাত, তার ওপরে এসেছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। যার ফলে আজকে সমগ্র বিশ্বেই যেমন তেলের দাম বেড়েছে, অনেক দেশেই এখন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার। বিদ্যুৎ আমরা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলাম এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সবাই পাচ্ছিল; কিন্তু এখন আন্তর্জাতিক বাজারে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপকরণগুলোর দাম অত্যধিক বেড়ে গেছে। ডিজেল, তেল, এনএলজির দাম বেড়েছে। সবকিছুর দাম বেড়েছে। কয়লা এখন পাওয়া যায় না।'

-প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশে যারা স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী—যাদের বিচারকার্য শুরু হয়েছিল, তাদেরই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসানো হয়। তাছাড়া জাতির পিতার হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে বিচারের হাত থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে তাদের পুরস্কৃত করা হয়।'

'স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় থাকার কারণেই এই সেনাবাহিনীতে ১৯ বারের মতো ক্যু হয় এবং বহু সেনা সদস্য, সৈনিক, অফিসার মৃত্যুবরণ করেন। এমন একটা সময় ছিল, যখন অফিসারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা করা হয়েছে। অনেকের স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে, পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে। এ রকমও ঘটনা তখন ঘটতে থাকে একের পর এক। প্রতি রাতে বাংলাদেশে কারফিউ চলতো। মানুষের কোনও অধিকারই ছিল না। মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারতো না। এ রকম একটা পরিবেশ বাংলাদেশে ছিল’, বলেন সরকারপ্রধান।'

-তিনি বলেন, '২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। পঁচাত্তরে আমি ও আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম। ১৯৮১ সালে আমাকে দেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি। অনেকটা জোর করেই দেশে ফিরতে হয়েছিল। যেখানে খুনিদের রাজত্ব, যেখানে অপরাধীদের রাজত্ব; আমি জানতাম যেকোনও সময় তারা আমাকে মারতে পারে। আমি সেটা পরোয়া করিনি। মানুষের জন্য ফিরে আসি। আসার পর থেকে আমার লক্ষ্য ছিল, একদিকে যেমন বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা, পাশাপাশি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ, যেখানে আমার বাবা নিজের হাতে সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী গড়ে তুলে গেছেন; সেগুলো যাতে আরও উন্নত হয় সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া।'

তেলের দাম বৃদ্ধিতে অনেক দেশেই এখন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার: প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা বলেন, 'ইউক্রেন আর রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে পরিবহনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আগের মতো জাহাজ চলাচল করতে পারছে না। শুধু আমাদের দেশে না, প্রত্যেকটা দেশেই এখন জিনিসের ঘাটতি। এই সমস্যাটা দেখা দিয়েছে। সেখানে আমরা যদি একটু সাশ্রয় করে চলি, মিতব্যয়ী হই এবং নিজেরা নিজেদের সঞ্চয়টা বাড়াতে পারি, তাতে যেকোনও সমস্যা মোকাবিলা করা যাবে। অর্থাৎ প্রতিটি পরিবারই যেন সঞ্চয়মুখী হয়, যে আমরা নিজেরা কিছু করবো।'

-তিনি বলেন, ‘অনেক উন্নত দেশে কিন্তু দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে। আমাদের দেশকে যাতে সে পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, এ জন্য এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। কোনও জলাধার যেন খালি না থাকে। যার যেখানে যতটুকু জায়গা আছে, প্রতিষ্ঠানভিত্তিকও যেখানে যতটুকু খালি জায়গা, যে যা পারবেন কিছু উৎপাদন করবেন। উৎপাদন করে অন্তত নিজেদের খাদ্যটা নিজেরা জোগাড় করার চেষ্টা করা, যাতে বাজারের ওপর চাপ না পড়ে। উদ্বৃত্তটা বিক্রি করে যাতে লাভবান হতে পারেন, সেই ব্যবস্থাটা সবাইকে নিতে হবে।'

করোনার সংক্রমণ প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এখন আবার একটু প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সেই সঙ্গে আমরা টিকা দিচ্ছি। টিকা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বুস্টার ডোজটাও নিতে হবে। অনেকেই বুস্টার ডোজ নিচ্ছে না। সাধারণ জনগণ একটু পিছিয়ে থাকে। সেই ব্যাপারেও আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবো, যাতে প্রত্যেকে বুস্টার ডোজটা নেয়। যাতে প্রাদুর্ভাব আর বাড়তে না পারে।'

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত